ভারত মহাসাগরের নিচে সুবিশাল টেকটনিক প্লেটে ফাটল, হতে পারে ভ’য়াবহ ভূমিকম্প।চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে করোনা ভাইরাস যে তান্ডব চালানো শুরু করেছে তা কাটিয়ে এখানো বিশ্ব মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি।তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান চলতি মাসে যে থাবা মেরেছে তাতে ভারতসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়।
এরি মধ্যে বড় দুঃসংবাদ দিলো প্যারিসের ইনস্টিটিউট অফ আর্থ ফিজিক্সের গবেষকরা।তারা জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের নিচে থাকা সুবিশাল টেকটনিক প্লেটে ফাটল ধরেছে।এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স নামক জার্নালে।শুধু তাই নয় লাইভ সায়েন্সের ওয়েবসাইটেও একই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক পৃষ্ঠের যেসব খন্ড ম্যান্টেলের ওপর পৃথকভাবে সঞ্চরণশীল অবস্থায় থাকে তাদের প্রত্যেকটিকে বলা হয় টেকটনিক প্লেট।বিশেষজ্ঞদের দাবি টেকটনিক প্লেটগুলো পূর্বের অবস্থান থেকে একটুখানি এদিক ওদিক হলেই যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়া’বহ ভূমিকম্প।
গত আট বছর ধরে ভারত মহাসাগরের তলদেশে ক্রমাগত ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার ফলে এমন ফাটল এর সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।২০১২ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্রিকর্ন টেকটনিক প্লেট বরাবর হোয়ারটন বেসিনে সংগঠিত হওয়া রিখটার স্কেলে যথাক্রমে ৮.৬ ও ৮.২ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পের ফলে এই ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে বলেও তারা মনে করছেন।এই ক্যাপ্রিকর্ন টেকটনিক প্লেটটির অবস্থান মূলত অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যবর্তী অঞ্চলে।গবেষণায় দেখা যায় প্রতি বছর ০.০৬ ইঞ্চি বা ১.৭ মিলিমিটার করে সরে যাচ্ছে এই প্লেটটি।এই গতি আপাত দৃষ্টিতে ধীর মনে হলেও আশংকা জনক বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।আর এর ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে,আর যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর ফলে হবে তা হবে খুব ভয়া’নক।
সমুদ্রের তলদেশে হওয়ায় অনেক সময় গবেষকরা এর পরিবর্তন এর দিকে নজর রাখতে পারছেন না।তাদের ভাষ্যমতে এই প্লেটটি ভারত মহাসাগরের এতোটাই নীচে যে,এর যে পরিবর্তন হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে প্লেটটি ভেঙ্গে যাচ্ছে তা অনেকসময় ই পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না।তবে গতি যত কমই হোক না কেনো তা উদ্বেগ এর কারণ।যে গতিতে টেকটনিক প্লেটটি দূরে সরে যাচ্ছে তাতে করে ১০ লক্ষ বছর সময় লাগবে প্লেটটি এক মাইল পরিমাণ পর্যন্ত বিভাজন হতে।তবুও এই নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।যেহেতু সমুদ্রের তলদেশে থাকা টেকটনিক প্লেটে এই ফাটল তাই বিজ্ঞানীরে এর দিকে নজর রাখা ছাড়া আর কিছু করতে পারছেনা।