হাঁপানি রোগিদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যাবহারে যে সব পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে রাস্তাঘাটে বের হলেই ছোট বড় সবাই মাস্ক পড়ে বের হয়।মাস্ক না পড়ে রাস্তায় বের হলে কোন দেশে পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতে হয় আবার কোন দেশে জরিমানা গুনতে হয়।তাই অনেকটা আত্মসচেতনতা আবার অনেকটা বাধ্য হয়েই মাস্ক ব্যাবহার করতে হয় সবাই কে।কিন্তু হাঁপানি বা এ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা অন্য কথা বলছেন।হাঁপানি বা এ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক ব্যাবহারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,যাদের হাঁপানি বা এ্যাজমা রয়েছে তারা যেনো মাস্ক ব্যাবহার কালে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করেন।যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক দল বলছেন,যাদের হাঁপানি বা এ্যাজমা রয়েছে তাদের যদি মাস্ক ব্যাবহার করলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে যেনো তারা মাস্ক ব্যাবহার না করে।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে বলা হচ্ছে যাদের হাঁপানি বা এ্যাজমা’র সমস্যা আছে,তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যাবহারের বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম হতে পারে।
যাদের আগে থেকেই হাঁপানি,এ্যাজমা ও এলার্জি মতো সমস্যা আছে, করোনা আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ঝুঁ’কি বেশি।আমেরিকার এ্যাজমা অ্যান্ড এলার্জি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা.ডেভিড স্টুকাস বলেন,যাদের শরীরে এ্যাজমা হালকা পরিমাণে আছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের বাইরে বের না হওয়াই ভালো।তাছাড়া যাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি আছে,যাদের সার্জারী হয়েছে আগে,তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।কারণ করোনা ভাইরাস শরীরে আক্র’মণ করার পর খুব দ্রুত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।র’ক্তের টি সেল যা শরীরে প্রবেশকারী জীবাণুর সাথে লড়াই করে।তার পরিমাণ কমে যায় করোনা ভাইরাস আক্র’মন করলে।
আর যাদের শরীরে আগে থেকেই জটিল রোগ যেমন হাঁপানি,এলার্জি,হৃদরোগ,ডায়াবেটিস থাকে তাদের এমনিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের যদি করোনা ভাইরাস আক্র’মন করে তবে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁ’কি বেশি।ডেভিড স্টুকাস বলেন,আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে কিংবা দূষণের ফলেও অনেকে মাস্ক ব্যাবহার করেন।আর এ বছর করোনা থেকে রক্ষা পেতেও অনেকে মাস্ক ব্যাবহার করছেন। ভিড়ের মধ্যে অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার করবেন তবে হাঁপানি রোগিদের ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত এবং হাঁটার সময় কিংবা একা থাকা অবস্থায় তাদের মাস্ক ব্যাবহার না করাই উত্তম।
তিনি আরো বলেন এ্যাজমা রোগীদের খুব সকালে বাইরে বের হওয়া উচিত আবার আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার আগেই ফিরে আসা প্রয়োজন।হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত কোনোভাবেই যেনো তাদের শ্বাস টেনে নিতে না হয়।করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হাঁপানি রোগী সহ যারা অন্যান্য ব্যাধিতে আ’ক্রান্ত তাদের একটু বেশিই সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।যাদের কোন জটিল রোগ ব্যাধি ছিলোনা তারাই করোনা ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হলে রোগের সাথে লড়াই করে উঠতে পারছেনা।সেক্ষেত্রে হাঁপানি রোগিদের ক্ষেত্রে ঝুঁ’কি অনেক বেশি।