র’ক্তনালীর ড্যা’মেজ হওয়া থেকে র’ক্ষা করে যে ৭ টি খাবার ,আসুন জেনে নেই সে খবার গুলো সম্পর্কে । র’ক্তনালী ড্যা’মেজ হওয়া থেকে র’ক্ষা করে যে ৭ টি খাবার, যা আমাদের জানা দরকার। আমাদের দেশে র’ক্তনালী ব্ল’ক হওয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।জীবন সুস্থ, সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।রোগ হওয়ার আগে রোগ প্রতিরোধ করা উত্তম।তাই নিচের এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য নিচের সাতটি খাবার খেতে পারেন।
১.দারুচিনিঃ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম এর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে।তাছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন মাত্র এক চামচ করে দারুচিনির গুড়া খেলে দেহের কোরেস্টরল কমায় এবং রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্ল’ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।২.ব্রু’কলিঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন কে যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এবং ক্যালসিয়ামকে র’ক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে।এটির ফাইবার উপাদান কোরেস্টরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁ’কি কমায়।৩.আপেলঃ আপেল এ রয়েছে পেকটিন নামক কার্যকারি উপাদান যা দেহের খাবার কোরেস্টরল কমায় ও রক্ত’নালীতে প্লাক জমার ধীরে ধীরে করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে র’ক্তনালী ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% কমায় ও রক্তনালী শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।৪.কমলার রসঃকমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট র’ক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কার্যকর ভাবে কাজ করে ফলে র’ক্তনালী ড্যা’মেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন দুই কাপ করে বিশুদ্ধ কমলার রস খেলে র’ক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
৫.তৈলাক্ত মাছঃসামুদ্রিক মাছের ওমেগা ফ্যাটি এসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ ও নিরোগ রাখতে সহায়তা করে।৬.গ্রিন টিঃ প্রতিটি চা ও কফির পরিবর্তে গ্রিন টি বা সবুজ চা পান করলে শরিলের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যাচেটিন যা দেহের কোরেস্টরল শোষণ কমায় ও হার্টকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।৭.তিসীবীজঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা উচ্চ র’ক্তচাপ কমায় এবং র’ক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে র’ক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করে।আমাদের দেশে দেখা যায় এখন অনেক অল্প বয়সেই মানুষ র’ক্তনালী ড্যা’মেজ এর স্বীকার হয়।তাই আমরা যদি প্রতিদিন আমাদের খাদ্যভাসে এই সাতটি খাবার রাখতে পারি তাহলে আমাদের এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে।তাই বলা যেতে পারে, রোগ হওয়ার পরে চিকিৎসা করা থেকে রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধ করাই উত্তম।