লবঙ্গ কেনো খাবেন এই সময় ,জেনে নিন কারন । লবঙ্গ বা লং এই সাধারণ মসলাটির সাথে কম বেশি সবাই আমরা পরিচিত। প্রায় সব বাড়ির রান্নাঘরে রান্নার এই উপাদানটি থাকবে। লবঙ্গ একটি সাধারণ মসলা হলেও এর রয়েছে অসাধারণ গুনাগুন।লবঙ্গতে ২০-২৫% ক্লোভ তেল এবং ১০-১৫% টাইটার পেনিক এসিড থাকার ফলে এর স্বাদ ঝাঁঝালো। লবঙ্গে ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি কমপ্লেক্স বিদ্যমান। এছাড়াও ম্যাঙ্গানিজ, লৌহ, সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ ও বিদ্যমান। যার কারনে শত শত বছর ধরে লবঙ্গ কার্যকরী ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
লবঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী ভাইরাসরোধী, পচনরোধী, প্রদাহরোধ করার ক্ষমতা। হজম ও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা ও দূর করে থাকে। আসুন লবঙ্গের আরো কিছু বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেই। লক্ষ্য করলেই দেখবেন বেশিরভাগ টুথপেস্টেই লবঙ্গ থাকার দাবি করে। কারণ লবঙ্গ দাঁত ব্যাথা ও দাঁতের সমস্যা দূর করে। কয়েকটি লবঙ্গ থেঁতলে আক্রান্ত স্থানে দিয়ে রাখলে ব্যাথার উপসম হয় বমি বমি ভাব হলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে বমি ভাব দূর হয়।
হাঁটুতে , পিঠে বা হাড়ের কোনো জয়েন্টে ব্যাথা হলে বেশ কিছু লবঙ্গ নিয়ে সেগুলোকে তাওয়ায় হালকা তাপে টেলে নিন। এরপর এর গরম লবঙ্গ কে পাতলা সুতির কাপড়ে বেঁধে একটি পুটুলি তৈরি করুন। গরম থাকতে থাকতে এই পুটুলি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দিলে ব্যাথা কমে যাবে।অনেকের মুখেই দুর্গন্ধ হয় যা তাকে অত্যন্ত বিব্রত করে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে লবঙ্গ। শুধু কয়েকটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবোলেই দেখবেন আপনার নিঃশ্বাস সতেজ হয়ে উঠেছে।মাথা ব্যাথা ও স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লবঙ্গ ও আদা দিয়ে এক কাপ রং চা খেয়ে নিন। দেখবেন মন মেজাজ ফুরফুরে হয়ে গেছে আমরা চুলে নিয়মিত যে তেল ব্যবহার করি সেই তেলের সাথে লবঙ্গের তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
সাধারণ সর্দিকাশি, ঠান্ডা লাগা এমনকি অ্যাজমা বা সাইনাস এর মতো সমস্যা থাকলে দিনে কয়েকবার লবঙ্গ চা খেলে রোগের উপসম হয়। তবে অবশ্যই লবঙ্গকে পানিতে ভাল ভাবে ফুটিয়ে চা তৈরি করতে হবে। তাজা লবঙ্গ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রণের ওপর দিয়ে রাখলে ব্রণ দূর হয়।গর্ভবতী নারীরা মর্নিং সিকনেস দূর করতে সকালে লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষতে পারেন। শুধু লবঙ্গে অস্বস্তি হয়ে গুঁড় বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ক্যান্সার এজেন্ট। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে লবঙ্গ। তাই রোজকার ডায়েটে লবঙ্গ বা লবঙ্গ চা অবশ্যই রাখুন।