জিংক এর প্রয়োজন করোনাকালে কেনো এত বেশি আর জিংক তা আমাদের জানা উচিত।আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যাবশকীয় উপাদান হচ্ছে জিংক বা দস্তা।অতি সূক্ষ্ম পরিমানে জিংক বিদ্যমান থাকে সুস্থ মানুষের শরীরে।প্রাকৃতিক ভাবেই নিয়ন্ত্রিত থাকে জিংকের উপস্থিত ও গ্রহণের ক্ষমতা। এক গবেষণায় সম্প্রতি দেখা গেছে, শরীরে এক লাখ বা সমপরিমাণ আমিষের মধ্যে তিন হাজার আমিষেই জিংক ধারন করেন এবং তিনশোর ও বেশি এনজাইম এর সঠিক পরিচালনার জন্য জিংকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী।রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা,চোখের রেটিনা,যকৃৎ,কিডনি,ত্বক,হাড়,শ্বেতকণিকা,লালা গ্রন্থি ও প্রোস্টেট গ্রন্থিতে জিংক সঞ্চিত থাকে।জিংক এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের সংক্র’মনজনিত রোগে অসুস্থতা দেখা দেয় বা সংক্র’মন জাতীয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।ভেড়া ও গরুর মাংসে উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে।
শিম জাতীয় উদ্ভিদ, চিনা বাদাম,দুগ্ধজাত দ্রব্য,মাশরুম,ঝিনুক, সয়াবিন এবং এ থেকে তৈরি মাখনেও প্রচুর জিংক রয়েছে।এখন অবশ্য জিংকের সম্পূরক হিসেবে ওষুধ বের হয়েছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে জিংকের প্রয়োজনীয় এখনো মানুষ সচেতন নয়।তাই এই ব্যপারে সচেতনতা তৈরি করা উচিত সবার মাঝে।করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)একটি সংক্র’মণ জাতীয় রোগ,যেহেতু জিংক জাতীয় খাবার সংক্রমণ জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে তাই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জিংক জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন বেড়েই চলছে,তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ম’হামারি কিছু পুষ্টিকর খাবার খেলে সংক্র’মন এর ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
এই ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা যেসব পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তার মধ্যে জিংক জাতীয় খাবার অন্যতম। কারন এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্র’মনের ঝুঁকি কমায়।দিন দিন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)এ মানুষের মৃ’ত্যুর মিছিল কমছেই না।একদিকে বিভিন্ন দেশে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে।ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকা স্তব্ধ হয়ে পরেছে।তাই এখন লকডাইন তুলে ফেলছে বিভিন্ন দেশ।তাই এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে জীবন ও জীবিকা পরিচালনা করার জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই।আর এগুলোর মধ্যে জিংক জাতীয় খাবারের প্রয়োজনীয়তা খুবেই গুরুত্বপূর্ণ।