ঘরোয়া উপায়ে কাশি নিরাময় করবেন যেভাবে। কাশি এমন একটি সমস্যা যার যন্ত্রণায় ছোট-বড় প্রায় সবাই অতিষ্ঠ। সর্দি-জ্বর-কাশি শীতকালের খুবই সাধারণ একটি সমস্যা।ছোট,বড় প্রায় সবারই শীতকালে কাশি হয়।কাশি হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন; এলার্জি,এ্যাজমা,ধূমপান, শুষ্ক আবহাওয়া।কাশির সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেই একগাদা এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দিয়ে দেয়।যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলোতে অনেক পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকে যা কিডনির সমস্যা করতে পারে।তাছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে ঠান্ডা বা কাশি সমস্যা নিয়ে কেউ ভয়ে ডাক্তারের কাছেই যাবেনা।এই বুঝি করোনা পজিটিভ আসে এই ভাবনায়।আর এখন ডাক্তার কাছে সহজে কেউ ঠান্ডা-জ্বর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যেতে চায়না।সবার মাঝেই একটা আত’ঙ্ক বিরাজ করে।তাই চলে আসলাম আমাদের হাতের নাগালে থাকা কিছু উপাদান নিয়ে যা কাশির সমস্যা থেকে আমাদের সহজেই পরিত্রান করে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
খুব প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করার জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। ঠান্ডার সমস্যার পাশাপাশি তুলসী পাতা কাশি দূর করে। কয়েকটি তুলসী পাতা থেঁতো করে এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দৈনিক দুই তিনবার খেলে কাশি দূর হয়।তুলসী পাতার ন্যায় বাসক পাতার কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে পাতা ফেলে দিয়ে সেদ্ধ পানিটুকু গরম গরম পান করলে কাশির সমস্যা দূর হয়। তাছাড়া সকাল-সন্ধ্যায় বাসক পাতার রস খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।
কাশি দূর করার একটি জাদুকরী উপাদান হলো লবঙ্গ। আপনার যদি কাশি হয় তাহলে একটি লবঙ্গ দুই দাঁতের মাঝে রেখে চাপ দিয়ে ধরে রাখুন এতে যে লবঙ্গের রস আপনার গলায় যাবে তা আপনার কাশি কমাতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় লবঙ্গ মুখের জীবাণু দূর করে.এ পদ্ধতিটি ছোট-বড় প্রায় সকলেরই জানা। কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পাওয়া যায় এবং কাশি দূর হয়।ঠান্ডার জন্য আদা চা খুবই উপকারী। ঠান্ডা মাথা ধরা থেকে আদা চা আরাম প্রদান করে। কাশি হলে আদা চা খাওয়ার পাশাপাশি একটি আদাকে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়ে লবণ লবণ মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানানোর কাজে মধু ব্যবহার করা হয়। মধু কাশি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাশি ও কফ কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার।তবে এক বছর বয়সী শিশুদের মধু না খাওয়ানোই উত্তম।কাশির সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া এই উপায় গুলো জানা থাকলে খুব সহজেই কাশি থেকে আপনি পরিত্রাণ পেতে পারবেন।এই উপায় গুলো যদি আপনার কাশি কমাতে ব্যার্থ হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।কোন কিছু নিয়েই অবহেলা করা ঠিকনা।এখন এই পরিস্থিতিতে তো একদমই না।