প্লাস্টিকের বোতল হতে পারে আপনার জন্য মা’রাত্মক ক্ষতির কারণ।যা আমাদের জানা দরকার। কারন আমরা বর্তমান পৃথিবীতে এক প্রকার নিত্যব্যবহার্য জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের উপর সম্পন্ন নির্ভর হয়ে পরেছি।বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় ৫ লাখ প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি হয়। বোতলটি প্রথমবার ব্যবহারের পরও সেটা না ফেলে আমরা অনবরত ব্যবহার করতে থাকি।এর মধ্যে পানি ভরে ফ্রিজে রেখে দেই।আমাদের আদরের বাচ্চাদের ও স্কুলে পানি নেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বোতলই ব্যবহার করি।বোলটি উপর দিয়ে পরিস্কার দেখলেও এটা মোটেও পরিস্কার নয়।
এক গবেষনায় দেখা গেছে, প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে পানি ভর্তি বোতলে প্রতি তিনদিনে ৩ লাখ ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।একে তো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া।এসব দিক বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বুন্ডানন শহর কতৃপক্ষ ২০০৯ সালে প্লাস্টিকের বোতল এ পানি বিপনন চূড়ান্ত ভাবে নিষিদ্ধ করেছে।২০১৬ সালে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে প্লাস্টিকের বোতলজাত পানি নিষিদ্ধ করেছে।এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিকের জিনিস এর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
প্লাস্টিকের বোতলে সাধারণত মিনারেল ওয়াটার, জুসসহ বিভিন্ন লিকুইড খাবার ইত্যাদি রাখা হয়। যা আমরা খুব কম মানুষেই জানি এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। প্লাস্টিকের বোতল মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে যেয়ে বিভিন্ন রোগের জন্ম নিতে পারেন।প্লাস্টিকের জিনিস শুধু মানব দেহের এই ক্ষতি করছে না বরং পরিবেশের ও মা’রাত্মক বিপজ্জয় বয়ে আনছে।যার প্রভাব পৃথিবীর উপর পড়তে থাকে।যে বোতলে মিনারেল ওয়াটার ও ঠান্ডা পানিও বিক্রি করা হয়,সেগুলো পলিথিন টেরেপথ্যালেট তৈরি হয়।তাপমাত্রা বেশি হলেই এর ক্ষ’তিকর পদার্থ বের হতে থাকে। যা পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে এবং মা’রাত্মক ক্ষ’তি করে।
এসব বোতলে পানি খেলে পেটের রোগ,গর্ভবর্তী নারীর সমস্যা ও হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।এ ধরনের শরীরে প্রতিবার সমস্যা দেখা দিতে পারে।প্লাস্টিকের বোতলে বিপিএ নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষ’তিকর। বিশেষ করে গর্ভবর্তী নারীর গর্ভজাত সন্তানের মানসিক বিকাশে মা’রাত্মক প্রভাব ফেলে।প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য পানি সংরক্ষণ এর জন্য রঙিন বা স্বচ্ছ বোতল ব্যবহার করে থাকে। এই রং শরীরের জন্য একদমেই ভালো নয়।বেশিদিন বোতলে পানি রেখে দিলে এতে এক ধরনের জীবাণু জন্ম নেয়।যা সমস্ত শরীরেই ক্ষতি করে পারে।প্লাস্টিকের মধ্যে মিশ্রিত রং এর কারনে পেটে অনেক ব্যথা হয়।অনেক গবেষকরা ধারণা করেছে,বোতলে নিয়মিত পানি পান করলে স্তন ক্যান্সার হতে পারে।ফ্রিজে রাখা পানি খেলে যা বিক্রিয়া হয়ে এক ধরনের গন্ধের সৃষ্টি হয়।প্লাস্টিকে পলিভিনালই ক্লোরাইড প্লাস্টিক থাকে।যেটি সংক্ষেপে পিভিসি নামে পরিচিত। নিত্য ব্যবহার এর জন্য এ ধরনের বোতল অনেক মা’রাত্মক ক্ষতি করে।
রোদে বা খোলা জায়গায় পানির বোতল রাখা আছে এমন দোকান না কিনে দোকানের ভিতর থেকে কেনা উত্তম।নতুন বোতল হলেও রোদের মধ্যে রাখলে বোতলের ভিতর লিচিং বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার আ’শংকা থাকে।মূলত সহজভাবে বলতে গেলে,বোতলে রাখা পানি এড়িয়ে চলাই উত্তম।বাইরে থাকলে খেয়াল করে দোকানের ভিতর থেকে পানি কিনবেন।