করোনার প্র”কোপ কমাতে ,শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘ডি’ এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।আমরা সবাই জানি করোনা সারা বিশ্বে মহা’মারী আকার ধারণ করেছে।আর এই জীবননাশক ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতিষোধক এখনো কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি।যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই।তাই আমাদের সকলের উচিত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলেই এই ভাইরাসের সংক্র’মণ রোধ করা সম্ভব হবে।ভিটামিন ‘ডি’ এর মূল উৎস হলো সূর্য।সূর্যালোক থেকেই ভিটামিন হিসেবে আমরা এই শক্তি পাই।যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী।সকালের সূর্যের প্রথম আলো বা রোদটাই হলো ভিটামিন ‘ডি।’আমরা সবাই এসময় করোনা নিয়ন্ত্রণে বাড়িতে অবস্থান করছি।আর এটাই ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারি।দৈনিক নিয়ম করে খাবারের তালিকায় ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার রেখে সেটা খেতে পারি।
ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো:ডিম,মাশরুম,টুনা মাছ,ম্যাকবোরল মাছ,গরুর মাংসের লিভার,কড মাছের তেল ইত্যাদি।এসব খাবার খেলে আমাদের দেহে ভিটামিন ‘ডি’ চাহিদার ঘাটতি পূরণ করা যাবে। এই ভিটামিন যেমন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি ফুসফুসের সংক্র’মণ যেমন:যক্ষা,নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এর সাথে ফুসফুসের কার্যকারীতা বাড়াতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে।একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ডিম,সার্ডিন,হেরিং,স্যামন,তেলাপিয়া মাছ,মাশরুম,ভিটামিন ‘ডি’ যুক্ত দুধ,দই ও কমলার রস খাওয়া উচিত।মাছের তেল বা কড লিভার অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।প্রতিদিনের খাবারে ২ চামচ পরিমাণ তেল থাকলেই এই ভিটামিনের দৈনিক যোগান চলে আসবে।ডিমের কুসুমেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়।১০০ গ্রাম মাশরুম থেকে দৈনিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া সম্ভব।
এজন্য করোনা ভাইরাসে নিজের ও নিজের পরিবারের সুস্থতার কথা চিন্তা করে বাসায় নিরাপদে থেকে শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভিটামিন ‘ডি’ পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।শুধু ভিটামিন ‘ডি’ নয় শরীরকে সুস্থ রাখতে সুষম খাবারের পাশাপাশি শক্তি যোগানকারী খাবার খাওয়া দরকার। কাজেই এ সময় নিজের ও পরিবার সদস্যদের সুস্থতা নিশ্চিতকরণে প্রতিদিনর খাবারে এসব খাদ্য রাখতে হবে এবং খেতে হবে।সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।