নিম পাতা ব্যবহারের সাথে কমবে যেসব রোগ । নিম গাছের বহুবিধ উপকারিতা,যা জানা দরকার। আমরা সবাই এই কম বেশি জানি নিম গাছ একটি একটি উপকারী গাছ। এর রয়েছে বহুবিধ গুনাগুন।কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানি না।এটি আমাদের বিভিন্ন দরকারি কাজে প্রয়োজন হয়, আসুন তা আমরা জেনে নেই।বসন্ত ও বায়ু শোধনকারী হিসেবে দুনিয়া বিখ্যাত গাছের নাম নিম।উপমহাদেশে নিম নামে পরিচিত হলেও আফ্রিকায় এই গাছের নাম মৌরোবিইনি।অনেক রোগের উপশম হয় এ গাছ দিয়ে।জীবানুনাশক,চর্মরোগ,ব্রন,র’ক্ত পরিষ্কার, ক্ষত ও কৃমিসহ আরো অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। মুখের দুগন্ধনাশক, শরীরে জ্বালাপোড়া ও এলার্জি থেকে মুক্তি দেয়।দাতের মাঢ়ি সবল করে ও দাতে র’ক্ত পড়া বন্ধ করে।নিম গাছ অন্তত ৫০ রোগের উপকার করে বলে শতাব্দীতে সাক্ষী হয়ে আছে।
ডায়াবেটিস রোগে ৫ টি গোলমরিচ এর সাথে ১০ টি নিম পাতা একত্রে সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।তবে অবশ্যই এর সাথে খাওয়া দাওয়া ও হাটাহাটি করতে হবে।মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে নিমের তেল অনেক উপকারী। আবার নিমের ডাল মেছওয়াক হিসেবে ব্যবহার করলে দাতের ঘা, ব্যথা কমে যায়।বেশি পরিমান প্রশ্রাব হলে ও চুলকালে নিম পাতার সাথে হলুদ খেলে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।নিমের শুকনো পাতা ও ছাল পুড়ে ধোঁয়া দিলে মশা দূর হয়।নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণ নিম পাতার নির্যাস, বালক,নিম তেল খেলে ক্যান্সার, স্কীন ক্যান্সার, টিউমার ভালো হয়।
আবার নিমের নির্যাস খেলে হার্টে সমস্যা কমে।এছাড়াও এটি ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমায়।রাতকানা রোগে নিমের ফুল ভাজা খেলে তা আস্তে আস্তে কমে যায়।নিম পাতা বেটে ফোড়ায় দিলে তা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা বাটা দিলে চর্মরোগ কমে যায়।যকৃৎ বা লিভারের জন্য নিমের ছাল,হলুদ,আমলকী একসাথে মিশ্রন অনেক উপকারী। ফসল সংগ্রহ করার জন্য প্রচীন কাল থেকে নিমের শুকনো পাতা অনেক উপকারী।এছাড়াও পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করতে নিমের শুকনো পাতা অনেক উপকার করে।শ্বাসকষ্ট ও দূর্বলতায় নিমের ফুল অনেক উপকারী। তাছাড়াও বাতজ্বরে নিমের তেল অনেক উপকারী, যা সারা বিশ্ব জুড়ে প্রসিদ্ধ। আবার অনেকে বলে থাকে যে বাড়িতে নিম গাছ আছে সে বাড়িতে রোগ বালাই তুলনামূলক কম হয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কতৃক ঘোষিত একুশ শতকের বৃক্ষ এবং বর্তমান বিশ্বেও অনেক গুনধর ও অালোচিত নিম থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন সামগ্রী। নিম গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে সাজসজ্জার জিনিস বানানো হয়।নিম গাছ পরিপক্ক হলে এর কাঠ অনেক দামে বিক্রি করা যায়।