ডিম খেলে ক্যন্সার হতে পারে এই কথায় অনেকেই হয়তো অবাক হবেন । কারন আমাদের প্রায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অতিপরিচিত ও সহজলভ্য খাদ্যের নাম ডিম। আমরা সকলেই জানি যে,ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন। আমরা ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। মোট কথায় ডিম হচ্ছে সকলের অতিসহজলভ্য খাদ্য যা প্রচুর পরিমান পুষ্টিসমৃদ্ধ। আমরা এতদিন জেনে এসেছি ডিমের উপকারিতা বা পুষ্টিমান সম্পর্কে কিন্তু আমরা এটা কি জানি যে,এই পুষ্টিসমৃদ্ধ বা পুষ্টিকর খাবার খেলেও আমাদের রয়েছে জীবনের ঝুঁকি! ভুল পদ্ধতিতে ডিম খেলে আমাদের হতে পারে ক্যান্সার! আর তথ্যই উঠে এসেছে ব্রিটেনের দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশনে।
গবেষণার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ডিমের তরকারি একাধিকবার গরম করে খেলে ডিমের প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের ভিতরে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।ওই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরিরের জন্য ক্ষতিকর। ডিমের মধ্যে থাকা হাই প্রোটিন নাইট্রোজেনও থাকে।যা ডিম পরবর্তীতে গরম করলে ওই নাইট্রোজেন হয়ে যায় অক্সিডাইজড যা ক্যান্সারের অন্যতম কারন। পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলেছেন,ডিমের ঝোল,অমলেট কোনটাই গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ বা হজম দুদিক থেকেই কাচাঁ ডিমের চেয়ে এগিয়ে রান্না করা ডিম। তবে ডিমের তরকারি বারবার গরম করে খেলে পুষ্টিগুন নষ্ট হয়।রান্না করা ডিমে প্রোটিনের উপস্থিতি ৯১ শতাংশ যা কাচাঁ ডিমে থাকে ৫০ শতাংশ। ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে ডিম সংরক্ষণ করে রাখলে তার পুষ্টিমান কমে যায়। একদিকে আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গড় তাপমাত্রা প্রায় সব সময়েই ৩০-৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকে।
হোটেল, রেস্টুরেন্ট এ বেশির ভাগ ডিমই অরক্ষিত থাকে যা রান্নার গুনগুন নষ্ট করে সাথে এর পচনত্ব কে ও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা । সেজন্য বাইরের ডিম এ সময় বিষতুল্য! তাছাড়া বাড়িতেও আমরা যেন সঠিক উপায় অবলম্বন করি সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত ।নিজেকে ভালো আর সুস্থ রাখারত জন্যে আসুন সঠিক নিয়ম ফলো করে যা ভালো লাগে খাই সেটা ডিম বা অন্য যেকোন কিছুর জন্যই হোক না কেনো । নিজে জানি সাথে অন্যকে জানাই ।
এখন আপনারা ভেবে বলুন,যথাযথ ভাবে ডিম খাওয়ার অভাবে শরীরে পুষ্টি জোগান দিতে যেয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করছি না তো।