করোনা কালে শরিরের ক্ষতির কারণ হতে পারে লেবুর খোসা । লেবুর খোসা নানান জীবাণু ও ভাইরাস বহন করতে পারে বলে জানা যায় ২০০৭ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ’এ প্রকাশিত একটি গবেষণার আলোকে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।লেবু ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার।কিন্তু লেবুর খোসা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমরা শরবত বা বিভিন্ন পানীয় পরিবেশনে গ্লাসে লেবুর টুকরো দেই দেখতে ভালো লাগার জন্য কিন্তু একবারও ভেবে দেখিনা সেটাতে জীবাণু থাকতে পারে।জুস বা পানীয় পরিবেশনের সময় যে লেবুর টুকরো ব্যবহার করা হয় সেই লেবুর খোসাতে ব্যাকটেরিয়া থাকে।রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার পরিবেশনের সময় তারা গ্লাভস ব্যবহার করেনা।এতে তাদের হাতের জীবাণু সহজেই খাবারের মধ্যে প্রবেশ করে।খাদ্য গবেষকরা দাবি করছেন,জুস বা পানীয় পরিবেশনে যে লেবুর টুকরো ব্যবহার করা হয় তাতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে এমনকি ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ পরিবেশিত খাবার তুলনায় বেশি থাকে।
টাকা দিয়ে খাবার খাচ্ছেন নাকি জীবাণু।বাসায়ও অনেক সময় লেবুর খোসা ব্যবহার করা হয়।লেবুর খোসা ব্যবহারে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন’একবার একটি গবেষণা চালায় তারা ২৭ টি রেস্তোরাঁ থেকে ৭৬ টি লেবু সংগ্রহ করে এবং পরীক্ষা করে দেখে ৭৬ টি লেবুতেই জীবাণু ও অন্যান্য ময়লা আছে যা মানব শরীরে রোগ সৃষ্টি করায় সক্ষম।গবেষণায় এও প্রমাণিত হয় প্রায় ৭০ শতাংশ লেবুর খোসায় ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া সহ অন্যান্য অনুজীব রয়েছে।লেবু যদিও প্রাকৃতিক জীবাণু নাশক কিন্তু অসচেতনতার কারণে তা থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।তাই রেস্তোরাঁতে খাবার অর্ডার করার সময় অবশ্যই লেবু আলাদা দিতে বলবেন তারপর লেবুর রসটুকু নিয়ে খোসা ফেলে দিবেন।বাসায় লেবু ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও লেবু ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করবেন।তা নাহলে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতির মুখে ফেলবেন। করোনা কালে শরিরের ক্ষতির কারন যেন লেবুর খোসা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে । ভালোভাবে নিয়ম মেনে লেবুর খোসা খাদ্য হিসেবে গ্রহন করা যেতে পারে ।সবাই সুস্থ ,সুন্দর ও নিরাপদে থাকি ।জেনে খাই ,মেনে খাই ।