মহামারী কে নিয়ে বসে থাকা নয় মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। যেহেতু করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য ভিটামিন এর মত আমাদেরকে ভিটামিন ডি ও গ্রহণ করতে হবে এজন্য আমাদেরকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলো প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট সলিউবল সিকুস্টারয়েড। এর কাজ দেহের অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করা। আমরা খুব সহজেই ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারি। ত্বকের উপর সূর্যের আলো পড়লে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যক্ষ্মা নিউমোনিয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে এ ভিটামিন বেশ কার্যকর।আবার দীর্ঘদিন ধরে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকে গেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বলেও বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ আসন্ন বসন্ত ও গ্রীষ্ম কালে মানুষকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছে।করোনাভাইরাসে মানুষ লকডাউন থাকায় সূর্যের সংস্পর্শে আসতে পারছে না ফলে মানুষ প্রয়োজনীয় ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার কৃষ্ণবর্ণের মানুষের ত্বকের পিগমেন্ট মেলালিন সূর্য থেকে পর্যাপ্ত রশ্মি শোষণ করতে দেয় না হলে ত্বক প্রয়োজনীয় ভিটামিন পায় না।যুক্তরাজ্যে শীতকালে মানুষকে দৈনিক 10 মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন গ্রহণ করার উপদেশ দেয় যদি যথেষ্ট সময় সূর্যা লোকের সংস্পর্শে না আসা যায় তাহলে সারা বছর দশ মাইক্রো গ্রাম করে ভিটামিন খেতে বলা হয়।
ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য ডিম, মাশরুম, স্যামন,সারদিনম,টুনা,হেরিং, সার্ডিন মাছ ও তেলাপিয়া মাছ এবং ভিটামিন -ডি যুক্ত দুধ দই, কমলার রস খাওয়া উচিত। এছাড়াও ডিমের কুসুমে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো। কড লিভার অয়েল এর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। খাবারে দুই চামচ পরিমান তেল থাকলেই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হয়।দৈনিক 50 শতাংশ ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ বা তিন আউন্স ওজনের একটি স্যালমান মাছের টুকরা থেকে। আবার গরুর মাংসের লিভারে ও ভিটামিন ডি আছে। তবে অনেকেই দুধ থেকেই ভিটামিন খেতে পছন্দ করে।তাই মহামারী কে নিয়ে না ভেবে নিজেদের ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াই আর তার সাথে যোগ করি ভিটামিন ডি ।