গির্জায় মুসলমানদের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে জার্মানিতে।মুসলিমরা ঈদের নামাজ বাসায় পড়বে নাকি মসজিদে,কয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে,জামাতে কয়জন করে থাকতে পারবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।এমনি সময় মুসলিমদের জন্য খুশির খবর নিয়ে এসেছে জার্মানি।জার্মানির বার্লিনে মুসলিমদের জন্য একটি গির্জার দরজা খুলে দেয়া হয়েছে।ঈদের সময় যেনো মুসলিমরা সময় মতো নামাজ আদায় করতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে বলে মসজিদ গুলোতে মুসলিমদের ঠিক মতো জায়গা হচ্ছে না।তাই জার্মানির বার্লিনের একটি গির্জার দরজা খুলে দেয়া হয়েছে মুসলিমদের জন্য।৪ই মে থেকে জার্মানির উপাসনালয় গুলো খুলে দেয়া হয়েছে আর শর্তস্বরুপ বলা হয়েছে যারা প্রার্থনা করতে আসবেন তারা যেনো দেড় মিটার বা ৫ ফুট দূরত্ব বজায় রাখেন।গত শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য মুসলিমরা ফলে নিউকোলন এলাকার দার আস-সালাম মসজিদে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে দাড়ানোর জন্য সকলকে জায়গা দেয়া যায়নি।মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন মুসল্লী মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ পায়।
আর এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে আসে ক্রুজবার্গ গির্জার মার্থা লুথেনার নামক এক চার্চ।মুসলিম সম্প্রদায় তাদের গির্জায় জুমার নামাজ আদায় করতে পারবে বলে তারা জানায়।রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দার আস-সালাম মসজিদের ইমাম জানান,এটা দারুণ একটা ব্যাবস্থা যা এই সংকটের সময় রোজার মধ্যে আমাদের জন্য খুবই খুশির ব্যাপার।এই মহামারী আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করেছে,সংকটই মানুষকে কাছে নিয়ে আসে।ওই গির্জায় জুমার নামাজ পড়তে আসা সামির হামদুন নামক নামাজি জানায়, “প্রথমটায় এখানে নামাজ আদায় করতে খুব অদ্ভুত লাগছিলো,কারণ ভেতরে বাদ্যযন্ত্র আছে,ছবি আছে।ইসলামের প্রার্থনাস্থলে এসব থাকার কথা না।”তিনি এও বলেন,”কিন্তু এসব ছোটখাটো বিষয় যদি গ্রাহ্য না করেন,তবে এটাও তো ঈশ্বরের একটি ঘর।”সেদিন ওই গির্জার যাজকও মুসলিমদের সাথে নামাজে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
মণিকা ম্যাথিয়াস জানায়,”আমি জার্মান ভাষায় বক্তৃতা করেছি,আর নামাজের সময় শুধু হ্যাঁ,হ্যাঁ, হ্যাঁ বলেছি।কারণ আমরাও একই ভাবে উদ্ধিগ্ন আর আমরা আপনাদের থেকে শিখতে চাই।”মনিকা ক্যাসিয়াথ নামক ওই যাজক আরো বলেন,এই যে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তা খুবই সুন্দর।সকল মুসলিম উম্মাহ’র ঈদ ভালো কাটুক।