প্রাকৃতিক ভাবেই ধ্বংস হবে করোনা,দাবি ক্যারোল সিকোরার।প্রাকৃতিক ভাবেই করোনা দূর হবে বলে দাবি করছেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং বাকিংহাম মেডিক্যাল স্কুলের ডিন ক্যারোল সিকোরা।তিনি বলছেন বিশ্বে ভ্যাকসিন আসার আগেই করোনা ভাইরাস দূর হবে আর তা প্রাকৃতিক ভাবেই। সসম্প্রতি তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এমন মন্তব্যই করেন।তিনি বলেন ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার আগেই নোভেল করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক ভাবে প্রাকৃতিক নিয়মেই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আমরা প্রায় সব জায়গাতেই এই ভাইরাসটির একই রকমের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করছি,আর আমার ধারণা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতার থেকেও এই ভাইরাসটির ধারণ ক্ষমতা বেশি।তবে যদি আমরা ভাইরাসটির বিস্তার ধীরগতি রাখতে সক্ষম হই তাহলে ভাইরাসটি প্রাকৃতিক ভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে।তবে বিষয়টি শুধুমাত্র সম্ভাব্য একটি দৃশ্য। এর ভবিষ্যৎ আসলে কি তা কেউ জানেনা।তিনি এই মন্তব্য টুইটারে প্রকাশ করার পর অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়।পরবর্তীতে তিনি তার আরেকটি টুইট বার্তায় বলেন,আমি শুধুমাত্র সম্ভাব্য একটি দৃশ্য তুলে ধরেছি।যা বর্তমানের এই অজানা পরিস্থিতিতে সম্ভব হলেও হতে পারে বলে জানান তিনি। লোকজনদের কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান ও জানিয়েছেন তিনি।
Herd Immunity নামে একটি বিষয় আছে যার বাংলা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া হয় তাহলে আর ওই সম্প্রদায়ে রোগটি ছড়ায় না।কিন্তু যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি তাই এক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি হবে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে তখন তাদের মাঝে ইমিউনিটি ডেভেলপ বা এ্যান্টিবডি তৈরি হবে।কারণ একবার যে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে তার মধ্যে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
তখন ভাইরাস যখন আর নিজেকে মিউটেট বা পরিব্যাপ্ত করার জন্য কোন দেহ খুজে পাবেনা তখন ভাইরাসটি নিজ থেকেই ধ্বংস হয়ে যাবে।এটি অনেকটাই জুয়া খেলার মতো।এ প্রসঙ্গে ডাঃ আহমেদ বলেছিলেন,করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটির কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে।কারণ করোনা ভাইরাসের কারণে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হলে এক্ষেত্রে ৯০ ভাগের বেশি মানুষকে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত করতে হবে।আর এতে নিশ্চিত কিছু সংখ্যক মানুষ কোমায় চলে যাবে আর কিছু সংখ্যক মারা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র,ব্রিটেন,সুইডেনে শুরুর দিকে হার্ড ইমিউনিটির দিকেই এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাই প্রথম দিকে তারা কোন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেনি।কিন্তু এতে যে বিশাল অংকের লোক কোমায় চলে যাবে সেই তুলনায় তাদের আইসিও ব্যাবস্থা না থাকায় পরবর্তীতে এ থেকে সরে আসেন তারা।করোনা ভাইরাসে হার্ড গড়ে তুলতে হলে গড়ে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে।আর এমনটা সম্ভব হলেই প্রাকৃতিক ভাবে করোনা ভাইরাস ধ্বংস হবে।