সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত। এই সূরা পবিত্র কুরআন শরীফ এর দুই নাম্বার সূরা।এ সূরার শেষ দুই অায়াতে রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য ও ফজিলত। নিয়মিত এই সূরার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে বান্দাকে আল্লাহ রহমত ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।আবার বান্দা পরকালেও আল্লাহর সাহায্য পাবে।
এই সূরার শেষ দুই আয়াতের বাংলা অর্থ হচ্ছে—‘রাসূল তদ্বীয় রব হতে তৎপ্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা বিশ্বাস করে এবং মু’মিনগণও (বিশ্বাস করে);তারা সবাই আল্লাহ্কে,তাঁর মালাইকাকে,তাঁর গ্রন্থ সমূহকে এবং তাঁর রাসূলগনকে বিশ্বাস করে থাকে;অামরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কাউকে পার্থক্য করি না এবং তারা বলে, অামরা শ্রবণ করলাম,স্বীকার করলাম, হে আামাদের রব!অামরা অাপনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং অাপনারই দিকে শেষ প্রত্যাবর্তন।কোন ব্যক্তিকেই আল্লাহ্ তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেন না;সে যা উপার্জন করেছে তা তারই জন্য এবং যা অর্জন করেছে তা তারই উপর বর্তাবে।
হে আমাদের রব!যদি আমাদের ভুল অথবা ত্রুটি হয় তজ্জন্য আমাদের অপরাধী করবেন না,হে আমাদের রব!আমাদের পূর্ববর্তীগনের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পন করেছিলো _আমাদের উপর তদ্রুপ ভার অর্পন করবেন না ;হে আমাদের রব!যা আমাদের শক্তির বাইরে ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না,এবং আমাদের পাপ মোচন করুন ও আমাদের মার্জনা করুন,আমাদেরকে দয়া করুন,আপনিই আমাদের আশ্রয়দাতা!অতএব,কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।'(সূরা বাকারা,অায়াত:২৮৫-২৮৬)
নবী মোহাম্মদ (সঃ)কে একজন ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিলেন,হে আমাদের নবী মোহাম্মদ (সঃ),কুরআন শরিফে কোন সূরা বেশি মর্যাদাবান?তিনি বললেন, সূরাইখলাস। এরপর আবার ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন কোন আয়াতটি বেশি মর্যাদাবান?তিনি বললেন,আয়াতুল কুরসি।এর পর আবার জিজ্ঞাসা হে আল্লাহর নবী,আপনি কোন আয়াত বেশি পছন্দ করেন,যা দ্বারা আপনার এবং আপনার উম্মত বেশি লাভবান হবে?নবীজি (সঃ)তখন
উত্তর দেন, সূরা বাকারার ২৮৫-২৮৬ নাম্বার শেষ দুইটি আয়াত।সহিহ্ মুসলিম এ দুইটি আয়াত এর ব্যপারে বর্নিত আছে যে,’এ দুটি আয়াত নবীজি (সঃ)-কে মিরাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সাথে আসমানে দান করা হয়েছে। ‘
হাদিসে এই সূরার শেষ আয়াত দুটি নিয়ে অনেক ফজিলত এর কথা ব্যাখ্যা করা আছে।এ দুইটি আয়াত এর ফজিলত সম্পর্কে নবী (সঃ) বলেন,’যে ব্যক্তি রাতে এই দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট। ‘নবীজি (সাঃ)বলেছেন,’সূরা অাল-বাকারাকে আল্লাহ তায়া’লা এমন দুটি আয়াতে দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচে দান করা হয়েছে।তাই এই আয়াত গুলো তোমরা শিখবে এবং তোমাদের স্ত্রীদেরও শিখাবে।কারণ এই আয়াত গুলোতে রয়েছে আল্লাহর রহমত, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় ও(দীন দুনিয়ার সকল) কল্যানলাভের দোয়া।'(মিশকাতুল মাসাবাহ:২১৭৩)।
জুবাইর ইবনু নুফাইর (রাঃ)থেকে বর্নিত।হজরত আলী (রাঃ)বলেছেন,আমার মতে যাদের সামান্য বুদ্ধিজ্ঞান রয়েছে,সে এ দুটি আয়াত পাঠ করা ছাড়া ঘুমাতে যাবে না।তাই আসুন আমরা এই আয়াত দুটি নিয়মিত পাঠ করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান লাভ করি। আর আমরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত আদায় করি।