ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের পর মেয়ের সাথে মা-বাবার সম্পর্ক কেমন হবে,এই বিষয়ে আমদের অনেকেরই তেমন একটা ধারণা নেই।তবে এ বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিয়ের পর মেয়ের সাথে তার মা-বাবার সম্পর্ক অবশ্যই ভালো রাখতে হবে।তবে বিয়ের পর মা-বাবার হক আদায় করতে গিয়ে স্বামীর অধিকার কোনোভাবে খর্ব করা যাবে না।সেদিকে পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।এই প্রথম কোনো আরব দেশ মহাকাশে নভোযান পাঠিয়ে মঙ্গলগ্রহ পরিদর্শন করবে।এর আগে কোনো আরব দেশ কখনো মহাকাশে নভোযান পাঠায়নি।সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রথম মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যাচ্ছে।দেশটি এই অভিযানের জন্য প্রায় পাঁচ বছর সময় নিয়ে একটি মহাকাশযান তৈরি করেছেন।
মানবহীন এই মহাকাশযানটির নাম দেওয়া হয় আমাল।আরবিতে যার অর্থ আশা।আগামী সপ্তাহে এই নভোযানটিতে জ্বালানি তেল ভর্তি করা শুরু হবে বলে জানা গেছে।পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু হলে পৃথিবী থেকে ৪৯৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মঙ্গলগ্রহে পৌঁছাতে এই যানটির সময় লাগবে সাত মাস।মঙ্গলগ্রহে ৬৮৭ দিনে একবছর হয়।এই পুরো সময় ধরে মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথ প্রদিক্ষণ করবে।মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে একবার ঘুরতে এই যানটির সময় লাগবে ৫৫ ঘন্টা।মহাকাশযানটি গোলাপি রঙের গ্রহটির চারপাশে ঘুরে এই গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।এই প্রকল্পের পরিচালক সারাহ আল আমিরি জানিয়েছেন,তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য এই মিশন স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় যুক্ত হতেও অনেকটা সহায়তা করবে।তিনি আরো জানান,আগামী ১৪ জুলাই মহাকাশযানটি জাপানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত দ্বিপ তানেগাশিমা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।
মহাকাশে নভোযান পাঠানোর প্রকল্পটি আরো আগেই সফল করা যেতো যদি না করোনা ভাইরাসের জন্য প্রকৌশলীদের কোয়ারেন্টিনে না থাকতে হতে।জাপানিজ রকেট দ্বারা চালিত এই মহাযানটিতে তিন ধরনের সেন্সর থাকবে।যার কাজ হবে মঙ্গলগ্রহের জটিল বায়ুমন্ডল পরিমাপ করা।মঙ্গলগ্রহে পানি তৈরিতে দরকার দু’টি উপাদান অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন এই গ্রহের বায়ুমন্ডলে কেনো থাকছে না তার পরীক্ষা ও করা যাবে।এই মহাকাশযানটিতে মাল্টিব্যান্ড নামক একটি ক্যামেরা থাকবে যা গ্রহটিতে অবস্থিত সূক্ষ্ম বস্তুর ছবি তুলতে সক্ষম।মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগ ও নিম্নভাগ পরিমাপের জন্য থাকবে ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার।এটি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি।গ্রহটির অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের মাত্রা পরিমাপ করবে মহাকাশযানটির তৃতীয় সেন্সর।যুক্তরাজ্যের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের স্যার ইয়ান ব্ল্যাচফোর্ড বলেন,এর আগে মঙ্গলগ্রহে যত নভোযান পাঠানো হয়েছিল সব ছিল ভূতত্ত্ব নির্ভর।তবে এবার যে নভোযান পাঠানো হবে সেটা জলবায়ু নির্ভর।বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে আরব আমিরাতের এই মিশনটি যদি সফল হয় তাহলে দেশটি ৫০ বছরের মধ্যে একটি তাক লাগানো কাজ সাধন করবে।