বৃষ্টির পানির রয়েছে উপকারিতা ও অজানা রহস্য, যা জানলে আপনি অবাক হবেন।বৃষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজেই পাওয়া যাবে না।এবার বৃষ্টি প্রিয় মানুষরা জেনে নিন,এর অজানা রহস্য ও উপকারিতা। পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ হলো বৃষ্টির পানি।এতে রয়েছে প্রাকৃতিক খনিজ, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে এটি অবশ্যই এটি পান করার আগে ছেকে পান করতে হবে।বৃষ্টি বাঙ্গালিদের জন্য এক অন্যরকম আনন্দের ব্যবহার। এই সময়েই কবি, সাহিত্যিক, লেখকেরা লিখেন তাদের শ্রেষ্ঠ লেখা গুলো।বৃষ্টি সময় প্রকৃতিও সাজে মনমুগ্ধকরভাবে,যা ভালো না লেগে উপায় নেই।
এবার জেনে নেই বৃষ্টি অজানা রহস্য।আমাদের সাবার ধারণা হয়তো, মরু অঞ্চলে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়,কিনা না আসলে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয় অ্যান্টার্কটিকায়।কাপড় বৃষ্টি পানিতে ধুলে এর উজ্জ্বলতা বেশি হয়।কারণ স্বাভাবিক পানির তুলনায় বৃষ্টির পানিতে সাবান বা ডিটারজেন্ট অনেক বেশি বা চমৎকার ভাবে কাজ করে।★ঘন্টায় ১৮ থেকে ২২ কিলোমিটার বৃষ্টি পড়ার গতি বেগ হতে পারে।বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে ও পান করলে ত্বক,চুল অনেক বেশি সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।আমরা অনেকেই বৃষ্টির ফোঁটাকে কান্নার জলের সাথে তুলনা করি।কিন্তু আমাদের এই ধারণা ভুল কেননা বৃষ্টির ফোঁটার গড় অায়তন ০.১ থেকে ৯ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।★বৃষ্টি হলে পতুর্গালে কেউ অফিসে যায় না।কিউবাতে বৃষ্টি হয় শুধু দুপুরে।আর রাতে থ্যাইলেন্ডে বৃষ্টি হয়।
এখনো বিশ্বের কোথাও কোথাও এসিড বৃষ্টি হয়।বৃষ্টি হলে মাটির ভিতর থেকে এক ধরনের গন্ধ আসে।এটা আসলে মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে আসে।বৃষ্টির পানিতে জিনিসপত্র ধুলে তা নতুনের মতো চকচক করে।বৃষ্টি হলেও অনেক সময় মাঠ ঘাট ভিজে না। কারণ হচ্ছে বৃষ্টির পানি পরার আগেই এওটি বাষ্পীয়ত হয়ে যায়।বৃষ্টির ফোঁটা মানে এক ফোঁটা জল, তা নয়।কারণ চাদঁ,শুক্র সহ এমন কিছু গ্রহ, উপগ্রহ আছে যা সালফিউরিক এসিড বা মিথেন থেকে বৃষ্টি হয়।এমনকি ৫০০০ আলোকবর্ষ এ এমন একটা গ্রহ আছে যেখানে আয়রন থেকে বৃষ্টি হয়। মরুভূমি অঞ্চলে প্রচুর গরম থাকায় বৃষ্টি পানি গায়ে লাগার আগেই তা বাষ্পীভূত হয়ে যায়।
বৃষ্টির পানি বিষাক্ত ক্ষতিকর ক্যামিকেল মুক্ত।কিন্তু এছাড়া অন্য যেকোন পানি কোন না কোন ভাবে জীবাণু সংমিশ্রণ হয়ে যায়।তাই এই বিশুদ্ধ পানি আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।বৃষ্টির পানিতে থাকে অ্যালকালাইন পিএইচ যা অ্যাসেডিটি কমায় ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট করে বৃষ্টির পানি।বৃষ্টির পানি কোষে জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে।এতে ত্বকের জ্বালা দূর হয়ঘামচি,চুলকানি কমাতে বৃষ্টির পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।প্রতিদিন সকালে বৃষ্টির পানি খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি বা আলসার থাকলে বৃষ্টির পানি ওষুধের মতো কাজ করে।রান্নার কাজে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা হলে সেই খাবার বেশি মজাদার ও বেশি সময় গুনগত মান ভালো থাকে।সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যাটারিতে বৃষ্টি পানি ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও চুলের যত্নে,ত্বকের যত্নে,জিনিসপত্র ধোয়ার ইত্যাদি কাজে পানি অনেক উপকারী।
আর সর্বশেষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৃষ্টি হচ্ছে উদ্ভিদের বেচে্ঁ থাকতে ভালো ফলন দিতে সাহায্য করে।বৃষ্টির সময় প্রকৃতি তার আপন রূপ নেয়।।বৃষ্টিকে রহমত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনি(আল্লাহ)বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন।তিনিই কার্যনির্বাহী,প্রশংসিত।'(সুরা আল শুরাহ,অায়াত:২৮)।তাই আসুন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করি।