নৌ-যানের নামের আগে ‘এম.ভি’ লেখা থাকে কেন জা’নেন?না জানলে জেনে নিন।আমাদের দেশে যাতায়াতের জন্য আ’মরা তিন ধ’নের পথ ব্যবহার করে থাকি।স্থলপথ,জলপথ এবং আকাশ পথ।এসব পথে চলাচলের জন্য যানবাহন ও থাকে।তেমনি জলপথে চলাচলের জন্য নৌযান থাকে।বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে চলাচলের জন্য সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে নৌযান।সেখানে চলাচলের জন্য জাহাজ বা স্টিমার ,লঞ্চ এ মানুষ চলাচল করে।আর এসব নৌ-যানে চলাচলের সময় আমরা সবাই খেয়াল করি এসব নৌ-যানের নামের আগে এম.ভি(M.V) লেখা থাকে।
আমরা অনেকেই এই লেখাটি কেন লেখা হয় জা’নার খুব আগ্রহও থাকে।তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কেন নৌ-যানের আগে এম ভি (M.V)লেখা থাকে-সাধারণত ইঞ্জিন চালিত জলযানের নামের আগে এমভি লেখা থাকে।খেয়াল করলে দেখা যায় যে,ইঞ্জিন ছাড়া কোন নৌ-যানেই এমভি লেখা থাকে না।সাধারণত এসব নৌযানে ভারী মালামাল বহন করা হয়। তাছাড়াও দূরের যাত্রার জন্য এইসব নৌযান ব্যবহার করা হয়। যা সাধারণ নৌযানে সম্ভব নয়।তাছাড়া সাধারণ নৌযান ঝুঁকিপূর্ন।বাংলাদেশ নদীবিধৌত দেশ।
এখানে বর্ষামৌসুমে চলাচলের জন্য সবচেয়ে পরিচিত, সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে নদী। ঝড় বা সাইক্লোন হলে কেন জাহাজ ও মাদার ভেসেল গুলোকে বন্দর ত্যাগ করতে হয় জানার ইচ্ছে হতে পারে ।
ঝড় বা সাইক্লোন হলে কেন জাহাজ ও মাদার ভেসেল গুলোকে বন্দর ত্যাগ করতে হয়। বাংলাদেশের উপর দিয়ে গেলো দুইদিন আগে তান্ডব চালিয়ে গেলো সুপার সাইক্লোন আম্ফান।তখন সর্তকতার জন্য গভীর সমুদ্র থেকে সকল মাছ ধরার ট্রলার ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু মেরি টাইম অর্থরিটি একই সাথে সকল জাহাজ ও মাদার ভেসেল গুলোকে দ্রুত বন্দর ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়।
তাদের আরো গভীর সমুদ্র এ যেতে বলা হয়। ব্যাপারটা কেমন আশ্চর্যজনক না!যেখানে ঝড় হচ্ছে সেই সাগরেই জাহাজ পাঠানো হচ্ছে নিরাপত্তার জন্য! এটা প্রথম যে শুনবে সেই অবাক হবে। আসুন জেনে নেই সেই কারন।জাহাজ যখন বন্দরে থাকে তখন সেটি মুরিং করা থাকে,মানে হচ্ছে রশি দিয়ে বাধা থাকে।আর যখন তীব্র ঝড় হয় তখন বন্দরে বাধা জাহাজ গুলো বড় বড় ঢেউ এর কবলে পরে রশি ছিড়ে যেতে পারে ফলে জাহাজ একটার উপর অন্য জাহাজ পরতে পারে আবার বন্দরও ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে বন্দর থেকে কি গভীর সমুদ্র বেশি নিরাপদ। অবশ্যই নিরাপদ যদি এখন অভিজ্ঞ ও দক্ষ ক্যাপ্টেন দায়িত্ব থাকেন, সে জানেন কিভাবে দক্ষতার সাথে ঝড় সামলাতে হয়।তিনি এমন একটা জায়গা খুজেঁ নিবেন যেই জায়গাটা বাতাশের আড়ালে।যেমন বাতাস যেদিন থেকে আসবে তা থেকে অন্য দিকে।জাহাজ কোন আশ্রয় না পেলে তুলনামূলক কম বাতাস এর দিকে গিয়ে বাতাসের বিপরীতে নোঙ্গর করে ব্যাগার ইঞ্জিন চালিয়ে ঝড় থামার অপেক্ষা করতে থাকবে।জাহাজ যখন গভীর সমুদ্র এ থাকবে তখন যদি না থামানো অবস্থা না থাকে তাহলে ক্যাপ্টেন জাহাজ থামাবেন না তিনি ইঞ্জিন পর্যাপ্ত অ্যাহেডে রেখে বাতাসের দিকে ছুটতে থাকবেন,জাহাজের সামনের অংশ দিয়ে বাতাস, ঢেউ ভেঙে জাহাজ নিরাপদ দূরত্বে চলে আসবে।এখন দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতির কারনে ঝড় বা সাইক্লোন এর আগেই গতিপথ জানতে পাওয়ায় ,অনেকে জাহাজ ই নিরাপদ জায়গা খুজে নেন।